বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচনের জন্য সংস্কারে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু নির্বাচনকে মূল লক্ষ্য করে সংস্কারের কাজ করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সংবিধানের সংযোজন, সংশোধন কোনোটাই সম্ভব নয়। সে কারণে নির্বাচন জরুরি। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনারা আপনাদের বান্ধবীকে নিয়ে গেছেন। এখন এমন বিপদে পড়ছেন যে বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে আজকে বুক টান করে আপনাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে। দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করলে আপনারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে কোনোদিনও ঠাঁই পাবেন না। বন্ধুত্ব হবে সমানে সমান। বন্ধুত্ব হবে সমান ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমরা অবশ্যই সকল রাষ্ট্র এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। তবে বন্ধুত্বের নামে যে খবরদারি এবং প্রভুত্ব করেছেন, সেই প্রভুত্ব আর বাংলাদেশে চলবে না।
তিনি আরও বলেন, যদি ভিসা বন্ধ রাখেন, তাহলে দেখেন আপনাদের হাসপাতালগুলো চলে কি না, হোটেলগুলো চলে কি না? কলকাতায় দুর্ভিক্ষ নামে কি না? আসুন বন্ধুর মতো হাত মিলান, আপনার স্বার্থ আমরা দেখব কিন্তু আমাদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে না। আমাদের স্বার্থকে সম্মান করতে হবে। তিস্তার ন্যায্য পানির হিস্যা দিতে হবে। আমাকে ফারাক্কার পানি দিতে হবে। এটা আমার অধিকার, কোনো আবদার না। হাসিনার সঙ্গে যা ভাগাভাগি করছেন সেটা মুছে ফেলুন। নতুন করে হালখাতা খোলেন। আগামীতে যেই সরকার আসবে সেই সরকার সমানে সমানে চলবে। হাজার বছর বঞ্চিত আমরা আর বঞ্চিত হতে চাই না। রক্ত যখন দিয়েছি, লড়তে যখন শিখেছি, আমাদের অধিকার আমরা আদায় করব যেকোনো মূল্যে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে বিজয় র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রয়্যাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম